এই সিদ্ধান্ত নেবার পেছনে মূল কারণ হিসেবে মি. ওবামা বলেছেন যে, আফগানিস্তানকে নিরাপত্তা দেয়া আফগানদের কাজ, মার্কিনীদের নয়। তিনি বলেছেন আগামী বছরের শুরু থেকে আফগানিস্তানের নিরাপত্তার জন্য আফগানরাই দায়িত্বে থাকবে। আর অ্যামেরিকানরা থাকবে কেবল পরামর্শক-এর ভূমিকায়। আফগান নগর, শহর, পাহাড় ও উপত্যকাগুলোতে আমরা আর টহল কাজ পরিচালনা করবো না। কেননা এটি একান্তভাবেই আফগানদের কাজ। আফগানিস্তানে অ্যামেরিকা সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে আনার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা হবে ধাপে ধাপে, কয়েকটি পর্যায়ে। এর মধ্য প্রথম ধাপটি হবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের শুরুর দিক।
এই বছরের শেষ নাগাদ সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে মাত্র দশ হাজারের কাছাকাছি সৈন্যকে আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকার দায়িত্বে রাখা হবে। আর দ্বিতীয় ধাপে অর্থাৎ ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা আরও কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামানো হবে। সেই অর্ধেক সৈন্য সংখ্যা অর্থাৎ প্রায় ৫ হাজারের কাছাকাছি সৈন্য তখন থাকবে কেবল কাবুল এবং বাগরাম এয়ার বেস এর নিরাপত্তার দায়িত্বে। আর তৃতীয় ধাপটি হবে ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ। এই সময়ে সৈন্য সংখ্যা নামিয়ে আনা হবে একহাজারে।
তবে, মি. ওবামা এটিও জানিয়েছেন যে, এই সব কিছুই নির্ভর করছে অ্যামেরিকা ও আফগানিস্তানের মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হওয়া না-হওয়ার উপর। এখানে মি. ওবামা বলছেন যে, ২০১৪ সালের পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা উপস্থিতি থাকবে কি-না বিষয়টি নির্ভর করছে দ্বিপাক্ষিক একটি চুক্তির উপরে। এই চুক্তির বিষয়ে দুই দেশের সরকার ইতোমধ্যেই আলাপ করেছে। আমাদের সেনাদেরকে তাদের উদ্দেশ্য সম্পন্ন করতে দেয়ার মর্মে কর্তৃত্ব দেয়া হবে এই চুক্তিতে।
এই চুক্তি করতে অসম্মতি জানিয়েছিল আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। তবে, বর্তমানে নির্বাচনের পর নতুন যে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন তিনি এই চুক্তিতে রাজী হবেন বলেই মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে বর্তমান মার্কিন সেনা সংখ্যা ৩২ হাজার। আর আফগানিস্তানের এই যুদ্ধে এ যাবত অন্তত ২০০০জন মার্কিনী নিহত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
সূত্র: বিবিসি